রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামীকাল রোববার (১৭ জানুয়ারি) বসছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি সকাল ১০টায় শুরু হবে। উপস্থিত থাকবেন চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে স্বাগত বক্তব্য দেবেন তথ্যসচিব খাজা মিয়া। ১০টা ৩৭ মিনিটে অনুষ্ঠানে সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখার পর ১০টা ৪২ মিনিটে আজীবন সম্মাননা প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে।
নিমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ করা তথ্যে নিশ্চিত হওয়া গেছে, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আজীবন সম্মাননা ও পুরস্কার তুলে দেবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এবার ২০১৯ সালের জন্য আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনূর আক্তার সুচন্দা। এই দুজনের অনুভূতি প্রকাশের পর ১১টা ৬ মিনিটে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন।
নিশ্চিত হওয়া গেছে, পুরস্কার প্রদান শেষে শুরু হবে ৪০ মিনিট ব্যাপ্তির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবারের আয়োজনে উপস্থাপনা করবেন অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন ও অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। সাংস্কৃতি পর্বে পারফর্ম করবেন ফেরদৌস-অপু বিশ্বাস, সাইমন-মাহি ও নুসরাত ফারিয়াসহ আরও অনেকে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু ও শেষ হবে সাদিয়া ইসলাম মৌ ও ওয়ার্দা রিহাবের দলের নৃত্য পরিবেশনায়। এছাড়া গান গাইবেন লিজা, ঐশীসহ আরও তিন সংগীতশিল্পী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি হবে ৪০ মিনিট।
করোনার কারণে এবারের অনুষ্ঠান সীমিত পর্যায়ে করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা বিটিভির মহাপরিচালক এস এম হারুন অর রশীদ।
অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত থাকবেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক এমপি।
চলতি বছরে মোট ২৬টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হবে। তারমধ্যে ২০১৯ সালের সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে ‘ন ডরাই’ ও ‘ফাগুন হাওয়ায়’। সেরা পরিচালক হয়েছেন তানিম রহমান অংশু (ন’ ডরাই)।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন সেরা অভিনেতা তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত) ও অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন’ ডরাই), সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হওয়ায়) ও পার্শ্ব-অভিনেত্রী নারগিস আক্তার (মায়া- দ্য লস্ট মাদার), সেরা খল অভিনেতা জাহিদ হাসান (সাপলুডু), সেরা গায়ক মৃণাল কান্তি দাস (তুমি চাইয়া দেখো- শাটল ট্রেন) ও গায়িকা মমতাজ বেগম (বাড়ির ওই পূর্বধারে, মায়া : দ্য লস্ট মাদার) এবং ফাতিমা-তুয যাহরা ঐশী (মায়া, মায়ারে- মায়া- দ্য লস্ট মাদার), সেরা গীতিকার নির্মলেন্দু গুণ (ইস্টিশনে জন্ম আমার, কালো মেঘের ভেলা) ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী (চল হে বন্ধু, মায়া : দ্য লস্ট মাদার), সেরা সুরকার প্লাবন কোরেশী (বাড়ির ওই পূর্বধারে, মায়া : দ্য লস্ট মাদার) ও তানভীর তারেক (আমার মায়ের আঁচল, মায়া : দ্য লস্ট মাদার)।